অন্যাকর্ষণ

“প্রযুক্তি এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনতার প্রভাবের উপাখ্যান”

অজ্ঞতার কারণ নির্মোহ হতে চেয়ে আমরা মোহগ্রস্ত হই। অদৃশ্য মায়াজাল এবং মোহমন্ত্রের গূঢ়তত্ত্ব না জানার দরুন বির্কষণে আকর্ষণ অন্যাকর্ষণ হয়। অলঙ্ঘনীয় সীমা নির্ণয় করতে না পারলেও দিনানুদিন সবকিছু অত্যাধুনিক হচ্ছে। উন্নতমানের স্লেট এবং ট্যাবলেট পাশাপাশি রাখলে বিশেষজ্ঞরাও ভ্যাবাচ্যাকা খায়। স্লেটে আঁকি-বুকি করে আঁকিয়ে হওয়া যায় এবং ট্যাবলেটেও অনেকে আঁকা-জোঁকার কাজ করে। প্রযুক্তির প্রয়োগকৌশল এবং অপব্যবহারে বিভ্রান্তি বাড়লেও প্রযুক্তিবিদ মাহীর বিশ্বাস করে, জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের শুদ্ধ ব্যাবহারে বিশ্বপ্রকৃতিকে স্বর্গীয় করা সম্ভব। তাই সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অসামাজিক মানুষকে সামাজিক করার ব্রত করে। বিকেল সওয়া পাঁচটায় বাসায় ফিরে নিজে চা বানিয়ে চেয়ার টেনে বসে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে টেবিলের উপর টাইপিং করছিল। এমন সময় তার স্ত্রী বিপাশা বাসায় প্রবেশ করে তাকে হাঁসের মত বসে থাকতে দেখে রাগান্বিতকণ্ঠে বললো… “কখন এসেছ?”
মাহীর :.. “এই তো একটু আগে। আজ এত দেরি করলে কেন, কী রান্না করবে?”
“আজ রান্নাবান্না করব না। আমি এখন আম্মাকে দেখতে যাব, বাঁচলে দেখা হবে।” বলে বিপাশা তড়বড়িয়ে কামরায় প্রবেশ করে হেঁকে বললো… “ভিজা তোয়ালে বিছানার উপর ফেলে রেখেছ কেন?”
মাহীর কথা না বলে টাইপিং করে। বিপাশা ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে দরজায় শার্ট লটকে থাকতে দেখে মনের ঝাল ঝাড়ার জন্য হেঁচকা টানে নামাতে চাইলে ফরাৎ শব্দ হয়। মাহীর অতর্কিতভাবে হেঁকে বললো… “আজ তোমার কী হয়েছে?”
বিপাশা চমকে জবাব না দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে মাহীর চেয়ার ঠেলে দাঁড়িয়ে গলারজোরে বললো… “আমাকে পাগাল বানাবার পণ করেছ নাকি?”
বিপাশা :.. “লোকে শুনলে কী বলবে?”
“যাচ্ছেতাই বলুক আমি পরোয়া করি না। আমি জানতে চাই দিনানুদিন তুমি বদলাচ্ছ কেন, তোমার কী হয়েছে?” বলে মাহীর বিপাশার চোখের দিকে তাকায়। বিপাশা মাথা নত করে কপাল কুঁচকে বললো… “আমার কিছু হয়নি। আমি এখন আব্বার বাসায় যাব।”
বিপাশা :.. “চলো, আমি তোমাকে পৌঁছে দেব। অনেকদিন হয় উনাদের সাথে দেখা হয়নি। পারলে এক কাপ চা বানাও, আমি কাপড় বদলিয়ে আসি।”
“আব্বা আম্মাকে দেখতে চাইলে পরে যেতে পারবে, কেউ বাধা দেবে না। আমি টেক্সি করে যাবো।” বলে বিপাশা মুখ কালো করে অন্যদিকে তাকালে, মাহীর কপাল কুঁচ করে বললো… “কী হয়েছে?”
“কিছু হয়নি। আমি চলে যাচ্ছি।” বলে বিপাশা পা বাড়ালে, গম্ভীরকণ্ঠে মাহীর বললো… “গাড়ি নিয়ে যাও।”
“ঠিকাছে।” কপাল কুঁচকে বলে বিপাশা চাবি নিয়ে বেরিয়ে যায়। মাহীর যা লিখেছিল তা ব্লগার নিক থেকে ব্লগে প্রকাশ করে…

তারপর পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন

© Mohammed Abdulhaque

Leave a Reply

Please log in using one of these methods to post your comment:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s