শান্তিকামী

পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে শান্তি এবং ইসলাম শব্দের অর্থ জানতে হবে। মুসলিম কী এবং মুসলিমরা কী করে তা জানতে হবে। মড়াকে গাড়তে এবং জোয়ানকে বিয়ে করাতে মোল্লার দরকার হয় এসব ফালতু উক্তি বাদ দিতে হবে। জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ভাণ্ডার হলো কুরআন। চিল্লাইয়া আলিফ বা পড়লে হবে না, অর্থ জানতে হবে। মাদ্রাসা শব্দের অর্থ জেনে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে বাস্তবিক হতে হবে। মুসলিমরা একমাত্র আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। মুসলিমরা সহনশীল, বিনয়ী, সত্যবাদী, প্রতিবাদী, প্রয়োজনে অত্যাচারীর সাথে যুদ্ধ করে। সম্পদ এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য মারামারি কামড়াকামড়ি করে না। অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। শান্তি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজনীতি করতে হবে। আলিমদেরকে আধুনিক রাজনীতি শিখতে হবে। সম্পদ এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির চিন্তা বাদ দিতে হবে। আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মশুদ্ধি হয়। আত্মিক প্রসারতার জন্য আত্মপ্রেম এবং আত্মত্যাগের অর্থ জানতে হবে। তিক্ত সত্য হজম করতে হবে। দুর্নীতি, দুর্শাসন, বৈষম্য, ধর্ম ব্যবসা, ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদ, সীমালংঘন, অসাম্প্রদায়িকতা এবং অরাজনৈতিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সচেতনভাবে সমাজসেবক হতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনে সোচ্চার হতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলকে উৎসাহিত করতে হবে। নিন্দনীয়কে নিন্দা করতে হবে এবং প্রশংসাযোগ্য কাজের প্রশংসা করতে হবে। পরিবর্তন করার জন্য বিধিনিষেধ জেনে প্রতিবাদী হতে হবে।

© Mohammed Abdulhaque

Leave a Reply

Please log in using one of these methods to post your comment:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s