দিনানুদিন জনসংখ্যা বেড়ে অসংখ্য হচ্ছে। ধর্মবিশ্বাস কমে মানুষ হিংস্র হচ্ছে। ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ ছিল মানবজীবনের লক্ষ্য। এখন অর্থ এবং কাম নিয়ে বেশির ভাগ ব্যতিব্যস্ত। পুণ্যকর্মসাধন এবং ধর্মসংগত কর্ম কমে যাচ্ছে। সাধনা, সততা, ঐহিক সৌভাগ্য, বাসনা বা মুক্তি বিষয়ে কিছু বললে ধমকে বলে, দেখতে পাচ্ছ না আমি যে কামেকাজে ব্যস্ত। জনপ্রিয় কিছু গান এবং প্রচলিত কিছু সুর অস্মদীয় যুগে রাজরোগ হয়েছে। অবৈধ্য প্রেমে মজে বিরহিত হওয়ার পর করুণ সুরের গান শুনে বৈতালে তাল সামাল দিতে চেয়ে উন্মনা হয়। আগের যুগে সবকিছুর সংখ্যা কম ছিল, সহজে জনপ্রিয় হয়েছে, এখন আসলের চেয়ে নকল বেশি এবং নকুলে আসল সাজতে চায়। ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি হওয়ার দরুন খালি মূল্যহ্রাস হচ্ছে এবং নকলে নকলে আসলে ভেস্তে যাচ্ছে। বিষাক্ত পরিবেশ এবং অস্থির পরিস্থিতিতে সার্বিক সুস্থ থাকতে চাইলে সাধ্যসাধনা এবং কাতর প্রার্থনা করতে হবে। ধর্মচর্চা করে ধার্মিক হওয়ার সময় কি হয়নি? প্রকাশ্যে তাওবা করার কি সময় এখনো হয়নি? যদি না হয় তাইলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত হও, প্রাকৃতিক উপদ্রবে অগণ্য নগণ্যরা উদ্বাস্তু হবে। ক্ষমার উপায়চিন্তা না করে ক্ষমতা এবং সম্পদের জন্য ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। এই খেলার ফলাফল হলো রৌরব অথবা মহারৌরব। আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে না। কদ্দিন পর এমনিতেও মৃত্যু হবে। মৃত্যুর সাথে আজ পর্যন্ত কেউই হাতাহাতি করতে পারেনি। মৃত্যু নিজিই অবশেষে আত্মহত্যা করবে।
One thought on “অস্মদীয় যুগ”