জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররামে কী হয়েছিল এবং তা কেন হয়েছিল? তালিবানরা কেন ঢাকা গিয়েছিল? কারা এবং কেন হিংসানলে ইন্ধন যোগিয়েছিল? যারা পৃষ্টপোষক ছিলেন উনারা তখন কোথায় ছিলেন? উনাদের আত্মীয়রা তখন কোথায় ছিলো? শুরুটা কী থেকে হয়েছিল? দেশের ধর্মগুরুরা কেমন সফল? উনারা কি আধ্যাত্মিক সাধনা করেন? উনাদের দিব্যজ্ঞান কেমন পখর? উনারা কি প্রকৃত ধর্মাত্মা নাকি বেশভূষায় দরবেশ? আত্মা, পরামাত্মা, অধ্যাত্মতত্ত্ব এবং পরমাত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে উনারা কতটুকু জানেন? উনাদের আত্মদর্শন কি হয়েছে? ষড়রিপু নিয়ন্ত্রণের মন্ত্র কি উনারা জানেন?
দূর থেকে স্পষ্ট সম্পদ এবং ক্ষমতার জন্য সবাই মরিয়া। সিংহাসনে বসার জন্য যাচ্ছেতাই করতে রাজি। আজেবাজে কাজ করে দেশকে অকেজু করলে কার লাভ হবে? এবং দেশকে কেন অকেজু করতে হবে? আল্লাহ কি মুসলমানদেরকে হাঁটু ভাজ করে বসে দিনমান কুরআন পড়ার জন্য বলেছেন? মুসলমানদের কি কোনো দায়দায়িত্ব এবং কর্তব্যকর্ম নেই? দাড়িওয়ালা পাঞ্জাবিওয়ালাকে সালাম করার নাম কী ধর্মপালন? দাড়িওয়ালা পাঞ্জাবিওয়ালা কি নিষ্পাপ, নির্মোহ এবং নিষ্কল? মাদ্রাসায় যারা পড়ে শুধু ওরা কি ইসলামের ষোলোকলা জানে, বাকিরা কি মূর্খ? আমিতো জানি আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ সবার খালিক এবং ওয়াকিল, এবং যারা জীবনের কোনো সময় আল্লাহকে বিশ্বাস করেছে ওরাও বেহেস্তে যাবে। তাইলে মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কেন? সহজ ভাষায় সত্যকে সবার কাছে পৌঁছানো হচ্ছে না কেন? আল্লাহর ওয়াস্তে লিল্লাহ ছদকা আদায় করা হয় কিন্তু দায়িত্ব আদায় করা হয় না। সত্য বলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় না।
বাংলাদেশ মুসলমানদের দেশ। বাংলাদেশ বিশ্বাসীদের দেশ। বিশ্বস্ত হতে হলে বিশ্বাসের সাথে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তি স্বস্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মানতে হবে।
মনে রাখতে হবে… দেশকে বিভক্ত করে কেউ কখনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারেননি। স্বার্থান্ধরা কখনো সফল দলনেতা হতে পারেনি। যারা স্বার্থচিন্তা করে ওরা কখনো সিদ্ধ হতে পারে না। আত্মহিতচিন্তায় অত্যহিত হয়। বিদ্বেষপরায়ণ এবং পরহিংসকরা সবার শত্রু।
জীবনে সফল এবং জন্ম সার্থক করতে হলে আল্লাহ এবং রাসূলের আদেশ নিষেধ মানতে হয়। মনগড়া ব্যায়ামকৌশল এবং চিত্তাকর্ষক খেলা প্রদর্শনে জনপ্রিয়তা মিলে আল্লাহর ক্ষমা এবং করুণা মিলে না।
সকলের মঙ্গল হোক! শান্তি বর্ষিত হোক সবার উপর।