যারা ধর্মকে আক্রমণ করে ওরা বিকারগ্রস্ত। আর ওরা যেহেতু বিকারগ্রস্ত তাই তাদের মতে অন্যরা অসুস্থ এবং বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে বেশি সমস্যা।
ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধ জানতে হলে প্রথম ইসলাম ধর্ম চর্চা করতে হয় এবং শুধুমাত্র তখন ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য এবং উপকারিতা উপভোগ করা যায়।
সূরা বাকারাহ্ আয়াত নং ২৬ অংশে আল্লাহ বলেছেন… “এবং প্রথিবীতেই তোমাদের জন্যে এক নির্দিষ্টকালের অবস্থিতি ও ভোগ-সম্পদ রয়েছে।”
এই নির্দিষ্টকালের অবস্থিতি ও ভোগ-সম্পদের জন্যই আমরা মরিয়া। মারামারি এবং বাড়াবাড়ি করে মরে যাই।
জীবনকে উপভোগ করতে হলে প্রকৃতির সাথে মিশে আলো, আগুন, পানি, মাটি এবং বাতাসের গুরুত্ব বুঝতে হয়। বিশ্বের বিষয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করতে হয়।
বর্তমান বিশ্ব ষড়রিপুর নিয়ন্ত্রণে। ইসলাম ধর্ম আত্মনিয়ন্ত্রণ শিক্ষা দেয় এবং সাধ্যসাধনায় আত্মনিয়ন্ত্রণ হলে ষড়রিপুরা আপসে নিয়ন্ত্রিত হয়।
ধর্ম শব্দের একাধিক অর্থ আছে। যারা ধর্মকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ওরা ধর্ম শব্দের অর্থ জানে না। ধর্ম শব্দ মানবতার সাথে সম্পৃক্ত। শুধমাত্র মানসিকভাবে এবং দৈহিকভাবে সুস্থরা ধর্মপালন এবং ধর্মচর্চায় সক্ষম, আর তার কারণ হলো, ধর্মের সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক।
ধর্ম আমাদেরকে মানবতা শিক্ষা দেয়। সুখ দুঃখ ভাগ করার জন্য একে অন্যকে ভালোবাসতে শিখায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অভাব অনটন দূর করে। ধার্মিকদের জন্য পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা বাধ্যতামূলক।
এখন প্রত্যুদাহরণ ব্যবহার করতে হচ্ছে, আমরা সবকিছু সত্বর চাই এবং মনোমতো করে চাই। আমরা বিশেষ শক্তি ব্যবহার করতে চাই। অলৌকিভাবে অনেক কিছু করতে চাই। অসম্ভব হলেও এসব সাধ্যসাধনায় সম্ভব। মানসিকভাবে সুস্থরা বিশেষ শক্তি খাটিয়ে গোপনে অন্যের অনিষ্ট করে না।
অভিচার শব্দের অর্থ হলো…. তান্ত্রিক মন্ত্র বা প্রক্রিয়া যার দ্বারা নিজের ইষ্ট ও অন্যের অনিষ্ট সাধিত হয়; অন্যের প্রতি হিংসা বা হিংসাত্মক কাজ।
অভি-চারের তান্ত্রিক মন্ত্র এবং ইষ্টাপত্তির ইষ্টমন্ত্রও ধর্মগ্রন্থের সাথে সম্পৃক্ত।
যারা ধর্ম মানে না অজ্ঞাতসারে ওরাও র্ধমচর্চা করে। যেমন.. মা বাবার সেবা করা। গরিব অসহায়কে সাহায্য করা। অন্যের দুঃখে দুঃখিত হওয়া। স্ত্রী সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এবং কাজেকর্মে কর্তব্যপরায়ণ। মিথ্যা বলা অন্যায়। চুরি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অন্যের স্ত্রী কন্যার সাথে অসদ্ব্যবহার বিগর্হিত কাজ।
মনে রাখতে হবে… প্রকৃত ধার্মীক হতে হলে মনেপ্রাণে ধর্মপালন করতে হয় এবং বেশভূষায় আকর্ষক হওয়া যায়, সাধক হওয়া যায় না।
সবশেষে বলতে হচ্ছে অনেক প্রজাতির অলস আছে, এক প্রজাতির অলস শুধু ধর্মচর্চা করতে চায় না, তাদের মাথায় খিলি মারে।