অন্যাকর্ষণ

প্রযুক্তি এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনতার উপাখ্যান

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে এই উপন্যাস রচিত। অপার্থিব বাস্তবতা অত্যন্ত মত্ততাজনক। অসামাজিক কার্যক্রম এবং লৌকিকতা বিরোধী মতবাদ মানুষকে একগুঁয়ে এবং একান্তবাসী করে। যে কোনো আসক্তি পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে। সংসার তচনচ হয়, মানুষকে সমাজচ্যুত পর্যন্ত করে। নায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত, নায়িকা তা সহ্য করতে পারে না। নায়ক জানতে এবং বুঝতে পারে নিজের স্বার্থের জন্য দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে সমাজজীবনের জন্য বিপজ্জনক প্রযুক্তি প্রস্তুতে ব্যস্ত। চিলচিৎকারে কাজ হবে না জেনে সে লেখালেখির মাধ্যমে সমাজসংস্কারের চেষ্টা চলায়। অনলাইনে লেখালেখির জের ধরে নায়িকা রাগারাগি করে বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে নায়িকা নিরুপায় হয়ে অনলাইনে লেখা পড়তে শুরু করে এবং ভাগ্যক্রমে ওর স্বামীর ব্লগে নিবন্ধিত হয়ে ওর স্বামীর লেখার ভক্ত হয়।

অজ্ঞতার কারণ নির্মোহ হতে চেয়ে আমরা মোহগ্রস্ত হই। অদৃশ্য মায়াজাল এবং মোহমন্ত্রের গূঢ়তত্ত্ব না জানার দরুন বির্কষণে আকর্ষণ অন্যাকর্ষণ হয়। অলঙ্ঘনীয় সীমা নির্ণয় করতে না পারলেও দিনানুদিন সবকিছু অত্যাধুনিক হচ্ছে। উন্নতমানের স্লেট এবং ট্যাবলেট পাশাপাশি রাখলে বিশেষজ্ঞরাও ভ্যাবাচ্যাকা খায়। স্লেটে আঁকি-বুকি করে আঁকিয়ে হওয়া যায় এবং ট্যাবলেটেও অনেকে আঁকা-জোঁকার কাজ করে। প্রযুক্তির প্রয়োগকৌশল এবং অপব্যবহারে বিভ্রান্তি বাড়লেও প্রযুক্তিবিদ মাহীর বিশ্বাস করে, জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের শুদ্ধ ব্যাবহারে বিশ্বপ্রকৃতিকে স্বর্গীয় করা সম্ভব। তাই সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অসামাজিক মানুষকে সামাজিক করার ব্রত করে। বিকেল সওয়া পাঁচটায় বাসায় ফিরে নিজে চা বানিয়ে চেয়ার টেনে বসে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে টেবিলের উপর টাইপিং করছিল। এমন সময় তার স্ত্রী বিপাশা বাসায় প্রবেশ করে তাকে হাঁসের মত বসে থাকতে দেখে রাগান্বিতকণ্ঠে বললো… “কখন এসেছ?”
মাহীর :.. “এই তো একটু আগে। আজ এত দেরি করলে কেন, কী রান্না করবে?”
“আজ রান্নাবান্না করব না। আমি এখন আম্মাকে দেখতে যাব, বাঁচলে দেখা হবে।” বলে বিপাশা তড়বড়িয়ে কামরায় প্রবেশ করে হেঁকে বললো… “ভিজা তোয়ালে বিছানার উপর ফেলে রেখেছ কেন?”
মাহীর কথা না বলে টাইপিং করে। বিপাশা ডানে বাঁয়ে তাকিয়ে দরজায় শার্ট লটকে থাকতে দেখে মনের ঝাল ঝাড়ার জন্য হেঁচকা টানে নামাতে চাইলে ফরাৎ শব্দ হয়। মাহীর অতর্কিতভাবে হেঁকে বললো… “আজ তোমার কী হয়েছে?”
বিপাশা চমকে জবাব না দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে মাহীর চেয়ার ঠেলে দাঁড়িয়ে গলারজোরে বললো… “আমাকে পাগাল বানাবার পণ করেছ নাকি?”
বিপাশা :.. “লোকে শুনলে কী বলবে?”
“যাচ্ছেতাই বলুক আমি পরোয়া করি না। আমি জানতে চাই দিনানুদিন তুমি বদলাচ্ছ কেন, তোমার কী হয়েছে?” বলে মাহীর বিপাশার চোখের দিকে তাকায়। বিপাশা মাথা নত করে বললো… “আমার কিছু হয়নি। আমি এখন আব্বার বাসায় যাব।”
বিপাশা :.. “চলো, আমি তোমাকে পৌঁছে দেব। অনেকদিন হয় উনাদের সাথে দেখা হয়নি। পারলে এক কাপ চা বানাও, আমি কাপড় বদলিয়ে আসি।”
“আব্বা আম্মাকে দেখতে চাইলে পরে যেতে পারবে, কেউ বাধা দেবে না। আমি টেক্সি করে যাবো।” বলে বিপাশা মুখ কালো করে অন্যদিকে তাকালে, মাহীর কপাল কুঁচ করে বললো… “কী হয়েছে?”
“কিছু হয়নি। আমি চলে যাচ্ছি।” বলে বিপাশা পা বাড়ালে, গম্ভীরকণ্ঠে মাহীর বললো… “গাড়ি নিয়ে যাও।”
“ঠিকাছে।” বলে বিপাশা চাবি নিয়ে বেরিয়ে যায়। মাহীর যা লিখেছিল তা ব্লগার নিক থেকে ব্লগে প্রকাশ করে…

তারপর পড়ার জন্য ইবই ডাউনলোড করুন

© Mohammed Abdulhaque