কবিতার বই
“কাব্যসাধনা” কৈশোরে লেখালেখির ষোলোকলা শিখার জন্য খড়িমাটি দিয়ে লেখারম্ভ করি এবং পরে লেখার প্রতি ঝুঁক বাড়লে সাধ্যসাধনায় কাব্যসাধক হওয়ার ব্রত করেছিলাম। মাঝে মাঝে যোগীদের মত চোখ বুজে বসে জপতপ হুম করি। কলাবিদ্যায় হায়ন গত হলে ষোলোতে মানসীর চুম্বন যেন খড়িশের ছোবল ছিল, তীব্র বিষাক্ত অধরমধু চোষে বিমনা হয়েছিলাম। বয়স বেড়ে চিন্তাশক্তি সমৃদ্ধ হওয়ার দরুন নিদিধ্যাসন এবং অভিধ্যান করে লেখি। কল্পবৃক্ষের ছায়ে বসে চিন্তাপ্রবণ হলে মন ভাবুক হতে চায়, চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে ভাব-সাগরে ঝাঁপ দেই। অকূলে কূল পাওয়ার জন্য দিবাতন সাঁতরাই আমি থই পাই না। চিন্তাকুল কোথায় জানি না। জোয়ারভাটায় দুলে দেখার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু দৃষ্টিগোচর এখনও হয়নি। উজান অথবা ভাটি, যে দিশে যাই না কেন কূল পাব। হয়তো স্বর্গ অথবা নরক। তবে স্বর্গে যেতে চাই আমি চিন্তাভাবনা করে চিন্তক হয়েছি অন্তর্যামীকে অন্তরের আসনে বসাবার জন্য। অন্তরকে পরিষ্কার করার চেষ্টায় আছি। অন্তর্যামী অন্তরে বসে আছেন জেনে বেশি মাথা ঘামাই না। মনে সদা ভয়। কারো মনে কষ্ট দিতে চাই না। চিন্তাশক্তি হলো প্রাকৃতিক প্রতিভা এবং পরিপার্শ্বে চিন্তার খোরাক আছে। নির্জন নিরালায় বসে চিন্তায় নিমগ্ন হই। ধূপের গন্ধে সুগন্ধী ধোঁয়া আগুন থেকে উৎপন্ন মেঘের মত হালকা বায়ব্য পদার্থ আবছা হয়ে উদগীর্ণ হয় অচিন্ত্য বিষয়ের মত ঘনায়মান। নবোদিত ধোঁয়া ও কুয়াশার মিশ্রণে অস্পষ্ট পরিবেশে ধ্যাতা এবং ধ্যানীরা বসে বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দেয় বুদ্ধিকে সজাগ করার জন্য চিন্তাশক্তিকে প্রগাঢ়। ধূমিত পরিবেশে চিন্তিত হলে রোমে রোমে ধূমোদগার হয় চৌষট্টি কলা পরিলক্ষিত। সব সত্য, সাথে এও সত্য, খামোখা চিন্তা করলে কানা খোঁড়ার একগুণ বাড়ে এবং কানা গরু ভিন্ন পথে দৌড়ে। তবুও চিন্তা করা ভালো। চিন্তায় মন মন্তা হয় পবিত্র। মোহাম্মাদ আব্দুলহাক স্বত্বাধিকারী এবং প্রকাশক

You must be logged in to post a comment.