জ্বীন এবং ভূতের উপর ভিত্তি করে কাল্পনিক ভালোবাসার গল্পের নায়ক নায়িকা চাচাতো ভাইবোন এবং দুজনই মা বাবার একমাত্র সন্তন। নায়ক অস্বাভাবিকরকম অদ্ভুত এবং বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। ওরা একে অন্যকে ভালোবাসে কিন্তু মুখে বলে না। আষাঢ়ে গল্প হলেও নায়কের প্রতি এক পরী আকৃষ্ট হয় এবং নায়িকাকে এক জ্বীন অপহরণ করতে চায়। এসবের কারণ তাদের গ্রামের এক জুজুবুড়ি জিনকে বশ্য করেছিল। জুজুবুড়ির শিষ্য অনুশিষ্যরা মানুষের রক্ত মাংসে আসক্ত যা নায়ক জানতে পেরে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য মন্ত্রবলে প্রস্তুত হয়। নায়িকার বয়স আঠারো হলে ওকে অপহরণ করার জন্য জ্বীন আবির্ভূত হয়। নায়ক জিনের জন্য মরণফাঁদ পাতে। জ্বীন এবং পরী সম্পর্কে নায়িকা অবগত থাকলেও কাউকে বলে বুঝাতে পারেনা। জ্বীন এবং পরী হলো খেলার সাথি। জ্বীন পরীকে সহ্য করতে পারে না কিন্তু পরী জিনকে ভালোবাসে। জ্বীন এবং পরী বাড়াবাড়ি করলে নায়ক আক্রমাক হয় এবং এক পর্যায়ে হাতের ভোজলি দিয়ে নায়িকাকে আহত করে। আপোসে বোঝাপড়ার পর জ্বীন এবং পরী তাদেরকে সাহায্য করে এবং চিকিৎসার জন্য নায়িকাকে নিয়ে শহরে গেলে জুজুবুড়ির শিষ্য অনুশিষ্যরা জাদু দ্বারা তাদেরকে মায়াবনে নিয়ে যায়। নায়ক তাদের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং জুজুবুড়িকে হত্যা করে নায়িকাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে। কাল্পনিক গল্প হলেও এই উপন্যাসে যথেষ্ট প্রমাণিত তথ্য আছে।
You must be logged in to post a comment.